শনিবার, ৬ মার্চ, ২০১০

ভেষজ বালাইনাশক

নিমবীজ
নিমের বীজ থেকে তৈরি বালাইনাশক বিটল পোকা, গান্ধীপোকা, উইপোকা, ক্ষতিকর মাছিপোকাসহ বিভিন্ন পোকামাকড় দমনে কাজে দেয়।
২০০ গ্রাম শুকনো নিমবীজ পরিষ্কার করে মিহি গুঁড়ো করতে হবে। এই বীজ গুঁড়ো তিন থেকে পাঁচ লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর গুঁড়োমিশ্রিত পানি ছেঁকে নিলেই তৈরি হয় ভেষজ বালাইনাশক। স্প্রে মেশিন দিয়ে ক্ষেতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
ইপিল ইপিল ও জবা ফুলের পাতা
যেকোনো সবজি ক্ষেতের সাধারণত রোগ-পোকা দমন করে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে।
এক কেজি পরিমাণ ইপিল ইপিল পাতা সংগ্রহ করে সামান্য পানি দিয়ে পিষে রস বের করতে হবে। কাপড়ে ছেঁকে পাতার রস আলাদা করতে হবে। এর সঙ্গে মেশাতে হবে তিন লিটার পানি। এরপর ওই মিশ্রণের সঙ্গে এক কাপ পরিমাণ জবা ফুলের পাতার রস মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে ভেষজ বালাইনাশক।
গাঁদা ফুলের শিকড়
গাঁদা ফুলের শিকড়ের রস ক্ষেতের ফসলের শিকড়ের গিঁট উৎপাদনকারী কৃমি বা নিমাটোডের আক্রমণ হলে ভালো ফল দেয়।
এক কেজি পরিমাণ শিকড় টুকরো টুকরো করে কেটে রস বের করতে হবে। টুকরো শিকড় পিষে রস বের করতে হবে। পেষার সময় সামান্য পানি দিলে রস সহজেই বের হয়। পেষা রস কাপড়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে বালাইনাশক।
তামাকপাতা
তামাক পাতার বালাইনাশক লেডি বার্ড বিটলজাতীয় পোকার আক্রমণে অধিক কার্যকর।
একটি বড় তামাকপাতা ২৪ ঘণ্টা এক লিটার পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর পাতা চিপে পানি আলাদা করলেই তৈরি হয়ে যাবে ভেষজ বালাইনাশক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন