শনিবার, ৬ মার্চ, ২০১০

সবজি

গরমকালের ফসল

সবজি

এখন ফাল্গুন মাস। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষের এখনই উত্তম সময়। অবশ্য স্থানভেদে অনেক এলাকায় শাকসবজি চাষ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বা হচ্ছে। অধিকাংশ শাকজাতীয় সবজি যেমন_লালশাক, পুঁইশাক, ডাঁটা ইত্যাদি বেডে সরাসরি বীজ বুনতে হয়; অন্য সবজিগুলোর ক্ষেত্রে আলাদা সিড বেডে চারা তৈরি করার পর মূল জমিতে নির্দিষ্ট দূরত্বে চারা রোপণ করতে হয়। ছোট আকারে বীজ বপনের ক্ষেত্রে ছাই বা মাটি মিশিয়ে বপন করতে হয়। নির্দিষ্ট লাইনে বীজ বপন বা চারা রোপণ করলে গাছ আলো-বাতাস সমভাবে পাবে এবং মাটি থেকে সমপরিমাণ পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করতে পারবে।
লালশাক, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গিমা কলমি, করলা, ঝিঙা, চিচিঙা, ধুন্দল, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, বেগুন, টমেটো, খিরা, তরমুজ, বাঙ্গি, ফুটি, স্কোয়াস, ডাঁটা, ধনিয়া, মরিচ ইত্যাদি।
বাগানে পাঁচটি বেডে বিভিন্ন শাকসবজির সমাহারে সবজিবিন্যাস করতে হবে। এ সময়ের জন্য প্রথম বেডে লালশাক বা ডাঁটা, দ্বিতীয় বেডে পুঁইশাক বা টমেটো, তৃতীয় বেডে ঢেঁড়স বা মরিচ, চতুর্থ বেডে বেগুন বা গিমা কলমি এবং পঞ্চম বেডে মিষ্টি কুমড়া বা করলা ইত্যাদি শাকসবজি চাষ করতে পারেন।
গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, এমনকি মানুষের উপদ্রব থেকে বাগান রক্ষা করতে বাঁশ বা তারের জাল দিয়ে বেড়া নির্মাণ করতে হবে। বেড়া শক্ত করে দিলে এর চারধারে শসা, চিচিঙা, ঝিঙা, কাঁকরোল, করলা, উচ্ছে, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া ইত্যাদি সবজি চাষ করা যায়।
শাকসবজি চাষে সময়মতো বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। চারা লাগানোর পরপরই সুষম সেচ প্রদান করতে হবে, মাটি ঝুরঝুরে ও আগাছা পরিষ্কার করতে নিড়ানি দিতে হবে এবং মাঝেমধ্যে তরল সার বা জৈব হরমোন অ্যাগ্রো-গ্রো (তরল) ব্যবহার করতে পারেন। হরমোন ব্যবহারে সবজি সতেজ ও সজীব থাকে, সুষম বৃদ্ধি পায়, ফলন দেড়গুণ বেশি হয় এবং প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফসল সংগ্রহ করা যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন