শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০১০

সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

রম্নমু-রম্নশো পোল্ট্রি ফার্মর্ এন্ড হ্যাচারি


২০০৯ সালে আত্মকমর্ী বিভাগে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত রম্নমু-রম্নশো পোল্ট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারির সাফল্যে কুষ্টিয়া মিরপুরের ছাতিয়ান ইউনিয়নের ভারল গ্রামের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। রম্নমু-রম্নশো পোল্ট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারির কল্যাণে গ্রামের অর্ধশতাধিক বেকার যুবক ফার্মে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবার পাশাপাশি এই ফার্মের ডিম, মুরগি, মাছ ও সবজি বিক্রি করে গ্রামের অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
২০০১ সালে ভারল গ্রামের বেকার যুবক ফজলুর রহমান গ্রাজুয়েট ডিগ্রি অর্জনের পর চাকরির পেছনে না ছুটে নিজ গ্রামে মাত্র পাঁচ'শ লেয়ার মুরগি নিয়ে রম্নমু-রম্নশো পোল্ট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারি গড়ে তোলেন। পাঁচ'শ লেয়ার মুরগি দিয়ে যাত্রা শুরম্ন করা ফার্মের ব্যবসায়িক সাফল্যে ২৬ হাজার মুরগি যখন প্রতিদিন ১৯ হাজার ডিম দিচ্ছিল, ঠিক তখন জনৈক ভ্যাটেনারি সার্জনের ভুল চিকিৎসায় প্রতিদিন মুরগির ডিম দেয়ার পরিমাণ অবিশ্বাস্য রকম কমে ৪ হাজারে নেমে আসে। এতে ওই ফার্মের প্রায় কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়।
বর্তমানে ১৩ বিঘা নিজস্ব জমির উপর গড়ে ওঠা রম্নমু-রম্নশো পোল্ট্রি ফার্মে ১৪টি শেডে মুরগি সংখ্যা ২৪ হাজার। এরমধ্যে প্রতিদিন ১৩ হাজার মুরগি ডিম দিচ্ছে। এছাড়াও এই ফার্মের উদ্যোগে ২০টি গরম্ন মোটাতাজাকরণ, ৯০টি ভেড়া, পাঁচ শতাধিক পায়রা ও ৮টি পুকুরে প্রায় ২০বিঘা জলাশয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফার্মের মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ছাড়াও সবজির চাষ করা হয়। এই ফার্মের উৎপাদিত সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে আত্মকমর্ী বিভাগে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত রম্নমু-রম্নশো পোল্ট্রি ফার্ম এন্ড হ্যাচারির মালিক ফজলুর রহমান বলেন, সরকার যদি তাদের মত ব্যবসায়িদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করত তাহলে গ্রামেই বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের আমিষ ঘাটতি কমে যেত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন